চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদ কমপ্লেক্সে আগামী ৬ মার্চ শনিবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে যৌতুক ও মাদক বিরোধী মহাসমাবেশ, গুণীজন সংবর্ধনা এবং আন্দোলনের একযুগ পূর্তিতে বর্ণাঢ্য র্যালি। বুধবার সাকলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে রজভীয়া নূরীয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা মুহাম্মদ আবুল কাশেম নূরী। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী। উপস্থিত ছিলেন মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কাজী মুহাম্মদ ফোরকান রেজা, যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ মিয়া জুনায়েদ, মুহাম্মদ আবুল হাসান, মুহাম্মদ জাহিদুল হাসান রুবায়েত, এজেএম হোসাইন, মুহাম্মদ ওসমান গনি জাহাঙ্গীর, মুহাম্মদ আব্দুল কাদের, মুহাম্মদ ফরিদুল আলম প্রমুখ।
আল্লামা মুহাম্মদ আবুল কাশেম নূরী বলেন, যৌতুকবিরোধী ১২তম মহাসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
তিনি বলেন, ১২ বছর আগে ২০১০ সনে দেশের অন্যতম বৃহৎ দ্বীনি ও সেবামূলক সংস্থা আনজুমানে রজভীয়া নূরীয়া বাংলাদেশ এর আয়োজনে চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে যৌতুক বিরোধী মহাসমাবেশের মাধ্যমে দেশে বৃহৎ পরিসরে ও বৃহৎ আয়োজনে যৌতুকবিরোধী আন্দোলন সূচিত হয়। পরবর্তীতে বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ সারাদেশে টানা বেশ কয়েক বছর ধরে যৌতুক বিরোধী মহাসমাবেশ আয়োজন করা হয়। যৌতুক দেয়া-নেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম, জঘন্য পাপ এবং এটি সামাজিক বড় ব্যাধি। সমাবেশের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানো, যৌতুকের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলা, যৌতুককে ঘৃণা করতে শেখানোই প্রতিবছর যৌতুকবিরোধী এ মহাসমাবেশ আয়োজনের মূল লক্ষ্য। পরবর্তীতে মাদকের বিস্তারে দেশের যুব সমাজ যখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছিল তখন আমি যৌতুকের পাশাপাশি মাদকবিরোধী আন্দোলনও শুরু করি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার