আওয়ামী লীগ নেতা হারুন হত্যায় শিবির ক্যাডার নাছিরের ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এমপি। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ‘ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি হত্যা চেষ্টা মামলায় শিবির ক্যাডার নাছিরের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিতে আসেনি’ শীর্ষক স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
এ সময় আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বিএনপির মদদে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা ১৯৯২ সালের ৫ মে ট্রাক ও বাসে করে ফটিকছড়ি ছাত্রলীগের সম্মেলনে গিয়ে একজন ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করে। সম্মেলনে সরাসরি শিবির ক্যাডার নাছিরের নেতৃত্বে হামলা হয়েছিল।
সম্মেলন থেকে আসার পথে আমাদের গাড়ির ওপর তাণ্ডব চালানো হয়। তখন পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা হারুন বসরকে হত্যা করে তারা। তখন আমি হারুনকে হত্যা না করে আমাকে হত্যা করতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা হারুনকে হত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা হারুন বসরকে আমার গাড়ি থেকে নামিয়ে আমার সামনে রাইফেল দিয়ে শিবির ক্যাডার নাছির হত্যা করেছে। আমি মাননীয় আদালতের কাছে সাক্ষী দিয়েছি। যদি আবার সাক্ষী দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি আবারও আদালতে সাক্ষী দেবো।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, জামায়াত-শিবিরে বিএনপির রক্ত রয়েছে। বিএনপির কারণেই জামায়াত-শিবিরের উত্থান হয়েছে স্বাধীন এই বাংলাদেশে। তাই খুনিদের এই সমাজে থাকা উচিত নয়। প্রত্যেক হত্যার বিচার হতে হবে। আমরা চাই দ্রুত বিচার শেষ হোক। আশা করি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম. এ. সালাম, সহ সভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন শাহ, দেবাশীষ পালিত, দেদারুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের এ ঘটনায় ফটিকছড়ি থানার মামলা নং ০৬(৫) ১৯৯২, জি.আর নম্বর ৩৭/১৯৯২। মামলায় ২৬ জন চার্জশীট ভুক্ত আসামি রয়েছে। এদের মধ্যে শিবির ক্যাডার নাছির এক নম্বর আসামি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর