চট্টগ্রাম মেডিকল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন-রক্তিম দে ও এনামুল হোসেন সীমান্ত। শনিবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে শনিবার রাতে মাহাদি জে আকিবকে মারধরের ঘটনায় তার ভাই তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় চমেক ছাত্রলীগের ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে সংঘাতের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা আকিবকে মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।’
ওসি বলেন, ‘শনিবার রাতে আকিবের ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, যাতে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।’
আকিবের অবস্থা সংকটাপন্ন
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘাত চলাকালে আহত মাহাদি জে আকিবের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। হকিস্টিকের আঘাতে থেঁতলে গেছে তার মাথা। রক্তক্ষরণ হয়েছে মস্তিষ্কের। ভেঙে গেছে হাড়। এ অবস্থায় অপারেশন করে মস্তিষ্কের কিছু অংশ তার শরীরের মধ্যে সংরক্ষণ রেখেছেন চিকিৎসকরা। মাথায় দেওয়া ব্যান্ডেজে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’।
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, আকিবের মাথা থেঁতলানো ছিল। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে তার সফল অপারেশন করেছি।’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন আহত হন। সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চমেক। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে কমিটি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই