চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে-পরের সহিংসতার ঘটনায় ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনায় চিহ্নিত অস্ত্রবাজসহ গ্রেফতার করা হয়েছে অর্ধশতাধিক। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশী বিদেশী অস্ত্র এবং কার্তুজ।
নির্বাচনী সহিংসতার সময় অস্ত্রের মহড়া দেয়া দুইজনকে গ্রেফতারের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক। সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘সাতকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে কিছু দুস্কৃতকারী সশস্ত্র ভুমিকা রেখেছে। নির্বাচনের আগে পরে সহিংসতার রোধে সতর্ক অবস্থা ছিল পুলিশ। তারপরও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। সাতকানিয়ার নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫১ জন। নির্বাচনী সহিংসতায় যারা জড়িত ছিল তাদের প্রায় সবাইকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনা হবে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বানে সহিংসতার ঘটনার সময় অস্ত্রের মহড়া দেয়ার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে নোয়াখালীর চরজব্বার উপজেলার চরক্লার্ক গ্রাম থেকে সামশুদ্দিন নিশান (২০) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়নের জোড়ারকূলে নির্মাণাধীন একটি ঘরের ভেতরে লুকিয়ে রাখা একটি এলজি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া খাগরিয়া ইউনিয়নের আমিরখীল গ্রাম থেকে জয়নাল আবেদিন (৪৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করে। তার বসতঘরে তল্লাশি করে একটি একনলা বন্দুক ও ২টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ, গোলাগুলির খবর এসেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এসব সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের দিন কয়েকটি ইউনিয়নে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেয় বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থক সন্ত্রাসীরা। নির্বাচনের দিন দুই জন নিহত হন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন