কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- ট্রলারের ক্যাপ্টেন ফারুক বিন আবদুল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার জহিরুল ইসলাম, চীফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম এবং ডক সদস্য রহমত।
বৃহস্পতিবার এবং বুধবার রাতে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আল আমিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে তিনটি লাশ আমরা উদ্ধার করেছি। বিকেল তিনটার দিকে আরও একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ফিশিং ট্রলারের ২০ জন ক্রুর মধ্যে ১৪ জন ক্র সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠেন। নিখোঁজ ছয় জনের মধ্যে চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, কোস্টগার্ড চার জনের লাশ হস্তানান্তর করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ লাশগুলো পরিবারের কাছে হন্তানান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকার সী-রিসোর্স ঘাটসংলগ্ন বয়া এলাকায় র্যাঙ্কন কোম্পানির মালিকানাধীন ‘এমবি মাগফেরাত’ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। জাহাজটিতে মোট ২০ জন নাবিক ছিলেন। এর মধ্যে ১৪ জন নিরাপদে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন