রিকশার পেছনে আঁকা ময়ূর-সাপের ছবি সন্ধান দিয়েছে সাত বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকারীর। সেই ছবির সূত্র ধরেই বুধবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন বেপারী পাড়া থেকে ওসমান হারুন মিন্টুকে গ্রেফতার করে বন্দর থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া মিন্টুর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ এলাকায়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এসআই মাসুদুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে এবং আশপাশের কমপক্ষে ৩০০ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন হিসেবে এক রিকশা চালককে শনাক্ত করা হয়। তবে কোনোমতেই চালকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রেফতার এড়াতে নিজের বেশভূষা পাল্টে ফেলে মিন্টু। তদন্তকালে জানা যায় সন্দেহভাজন চালকের রিকশার পেছনে একটি ময়ূর ও সাপের আঁকা ছবি আছে। ওই সূত্র ধরেই মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিন্টু জানায়, ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে হালিশহর কে-ব্লক থেকে সুরমাকে রিকশায় তুলে নেয়। বড়পোল এলাকায় একটি দোকান থেকে ৪০ টাকা করে ৮০ টাকা দিয়ে দুই প্যাকেট বিরিয়ানি কিনে। স্থানীয় মনসুর মার্কেটের নিচে বসে দু’জনে বিরিয়ানি খায়। এরপর সুরমাকে আবার রিকশায় তুলে নিয়ে পোর্ট কলোনির পরিত্যক্ত বাসাটিতে যায়। ওখানে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর পোর্ট কলোনির ৮ নম্বর সড়কের মুখে একটি পরিত্যক্ত একতলা বাড়ির ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছিল বন্দর থানা পুলিশ। মৃত সুরমা আক্তার নগরীর বড়পোল এলাকার একটি বস্তির বাসিন্দা রিকশাচালক মো. কাউছারের মেয়ে। সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, সুরমাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই