আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে চট্টগ্রাম নগরের বৃহত্তম রেয়াজুদ্দিন বাজার এবং কাজীর দেউড়ি বাজারে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসানের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক এবং সহকারী কমিশনার প্রতীক দত্ত রেয়াজুদ্দিন বাজার এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানা কাজির দেউড়ি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে চালের দোকান, মুদির দোকান এবং সবজির বাজারে জিনিসপত্রের ক্রয় ও বিক্রয়ের মূল্যে ব্যাপক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। অধিকাংশ দোকানদারই দেখাতে পারেননি ক্রয় রশিদ।
বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় এবং পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯, অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে সাড়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮ এর ২৯ ধারা লংঘনে ৪৬ ধারায় ৫০০ টাকা জরিমানা এবং সতর্ক করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান বলেন, অভিযানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নির্ধারিত মূল্যের বাইরে বিক্রিসহ অন্যান্য পণ্য সঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়েছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকল্পে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমযান মাস আসলেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ঘটানোর চেষ্টা করে। তাই আগে থেকেই অভিযান শুরু করা হয়। যারাই কারসাজি করবে বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, অভিযানকালে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় একটি ফলের দোকানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া সকল দোকানের ডিজিটাল বাটখারা বিএসটিআই প্রতিনিধির মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। ক্রয়-বিক্রয় মূল্যের রশিদ যাচাই, বিভিন্ন প্যাকেটজাত পণ্যের মেয়াদ যাচাই, চিনি, খেজুর, ছোলা ও তেলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যাচাই করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম