চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে খেলাধুলা ও হাঁটার জন্য পার্ক নিমাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। রবিবার চসিকের ৬ষ্ঠ পরিষদের ২৭তম সাধারণ সভায় মেয়র এই তথ্য জানান। এ সময় তিনি নগরীর বিভিন্ন সংকট সমাধানে সেবা সংস্থা ও নাগরিকদের মধ্যে সমন্বয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা চেয়েছেন।
সভায় মেয়র বলেন, ‘আমরা কেবল অভিযোগ করব, শিশুরা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে করতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অথচ তাদের জন্য খেলার মাঠ রাখব না তাহলে তো সমাধান হলো না। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে শিশুরা খেলতে পারে, বয়স্করা অবসরে হাঁটতে পারে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও রেলওয়েকে তাদের ভূমিতে খেলার মাঠ ও পার্ক করার জন্য আমাদের দিতে প্রস্তাব দিয়েছি।’
মেয়র বলেন, ‘পদে বসেই আমি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আগ্রাবাদ ডেবা ও পাহাড়তলি জোড় ডেবা সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য চসিককে দিতে বলি, তবে রেল কর্তৃপক্ষ সহায়তা না করায় সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। আমি বলেছি, ভূমির মালিকানা চসিককে দিতে হবে না, শুধু ভূমি দিন আমি করপোরেশনের অর্থে পার্ক-মাঠ গড়ে দেব, শিশুদের ভবিষ্যৎ বাঁচাবো। রানির দীঘিকে দখলের হাত থেকে বাঁচানো গেলেও, এখনও ষড়যন্ত্র চলছে।’
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জেলা প্রশাসকের কাছে কুলগাঁও বাস টার্মিনাল নির্মাণ, ওয়ার্ডগুলোতে খাসজমি পুনরুদ্ধার করে বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণসহ চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা চান। নগরের বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা পানির সংকট ও নিম্নমান নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন চসিকের কাউন্সিলররা। ওয়াসাসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের গৃহীত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট চট্টগ্রামের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন। পরে তিনি বলেন, বলেন, ‘চট্টগ্রামকে স্মার্ট নগরে পরিণত করতে মেয়রের পরিবেশ নিয়ে জানানো উদ্বেগের সমাধানে কাজ করবো। চট্টগ্রামের মেয়রের সহযোগিতায় আমি পলিথিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব। এছাড়া চট্টগ্রামকে সাজাতে চসিক ও জেলা প্রশাসন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। একদিকে প্রশাসন উচ্ছেদ করবে, অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া ভূমিতে পার্ক, খেলার মাঠ আর রাস্তা বানাবে চসিক। জলাধার রক্ষা, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ফুটপাথ উদ্ধারসহ চট্টগ্রামকে স্মার্ট নগরে পরিণত করতে দুটি সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে।’
সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিরা তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী তুলে ধরেন। সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধান এবং নগরের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম