চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চসিকের যত বিলবোর্ড আছে, সব বিলবোর্ডের চুক্তি বাতিল করে দিন। আমরা অনিয়মের কারণে অসম্ভব রকমের ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমি একটা উদাহরণ দিচ্ছি বিলবোর্ডের। সেন্ট্রাল প্লাজাতে সাতটা বিলবোর্ড দেয়া হয়েছে। সাতটা বিলবোর্ডে তারা বছরে চার-পাঁচ কোটি টাকা ইনকাম করছে। কিন্তু আমরা পাচ্ছি বছরে মাত্র ২১ লাখ টাকা। আমার মনে হয়, এইসব ব্যাপার নিয়ে আমাদেরকে খুব স্ট্রিক্টলি আগাতে হবে। আমরা সমস্ত বিলবোর্ড এবং সমস্ত সৌন্দর্যবর্ধনের চুক্তি সব বাতিল করে নতুনভাবে নতুন বছরে আমরা এগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব।
বৃহস্পতিবার চসিক কার্যালয়ে চসিকের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটির সঙ্গে আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন মেয়র।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দুর্নীতি কমাতে হবে। দুর্নীতির কারণে চসিক রেভিনিউ পাচ্ছে না। আর্থিক সংকটে সেবামূলক কার্যক্রমগুলো চালাতে খুব বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। ফলে এই যে সমস্ত নিয়ম-কানুনকে ডেভিয়েট করে যে নির্দেশগুলো দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে ট্যাক্স কালেকশনের ক্ষেত্রে, সেগুলো বাতিল করতে হবে।
তিনি বলেন, যেসব শপিং কমপ্লেক্সে, মার্কেটে যাদেরকে ভাড়া দিয়েছি, যাদের সাথে চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তিতে বরখালাপ হয়েছে। যদি চুক্তিতে থাকে যার নামে দোকান বরাদ্দ তাকে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু সে যদি আরেকজনকে ভাড়া দিয়ে থাকে তাহলে, এই ধরনের চুক্তিগুলো নতুন করে অথবা এই চুক্তিগুলো আমরা বাতিল করতে পারি।
মেয়র বলেন, আল্লাহর রহমতে আমরা প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ফেরত পেয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে কার্যক্রম আল্লাহর অসীম রহমতে অলমোস্ট শেষের দিকে। আমরা বন্দর থেকে যে এক শতাংশ হারে মাসুল যেটা চেয়েছি সেটা পজিটিভলি আগাচ্ছে। আরেকটি সুখবর এখন বন্দরের দুইজন ভদ্রলোক ফিন্যান্সের যারা দায়িত্বে আছে তারা আমাদের সাথে দেখা করেছেন। বন্দর থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যে হোল্ডিং ট্যাক্স পায় তা বাণিজ্যিক হারে পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। সম্ভবত সেটা ১৬২ কোটি টাকা বাৎসরিক হবে। ওইটার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা দু’জন এসেছেন, আমার সাথে কথা বলেছেন। আমি বন্দরের চেয়ারম্যান সাহেবের সাথেও কথা বলেছি। উনিও পজিটিভ আছেন। সচিব মহোদয় পজিটিভ আছেন। আমার মনে হয়, এটা যদি হয়ে যায় আল্লাহ রহমতে আমাদের একটা ভালো এমাউন্ট পাব। এজন্য বলছি আমরা একটা পজিটিভ ফ্রেম অফ মাইন্ড নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
মেয়র বলেন, আমরা চাই, চসিক একটা আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে। এটা হলে নাগরিকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি সেবা করতে পারব। আমাদের সবাইকে সেজন্য পজিটিভ মাইন্ড নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদেরকে সবাইকে একটিভ হতে হবে, ডায়নামিক হতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত