চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় এখনো অধরা হত্যাকারী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মীর আরমান হোসেনকে। তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ সম্পাদক। হত্যার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো গ্রেফতার হয়নি কেউ।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতা মীর আরমান হোসেনকে হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় কারা জড়িত সেটা বের করার চেষ্টা চলছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সীতাকুন্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা মীর আরমান হোসেন। পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিগত সময় ধরে সলিমপুরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখানে নানা অপকর্ম করতো। শীর্ষ নেতারা পালিয়ে গেলেও অনেকে এখনো সক্রিয়। বিশেষ করে মশিউর ও ডাকাত ইয়াকুব গ্রুপ এ হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ স্থানীয়দের।
এরআগে বৃহস্পতিবার সীতাকুন্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গলসলিমপুর ছিন্নমূল বস্তি এলাকার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় তাকে। সন্ধ্যায় মীর আরমানের মোবাইলে একটি কল আসে। এরপর বাসা থেকে বের হলে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাকে পেটে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মীর আরমান রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মীর মোতাহের হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলসলিমপুর ছিন্নমূল বস্তি এলাকায় থাকতেন। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ছিলেন সীতাকুন্ড উপজেলা বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম মহানগর ছিন্নমূল বস্তিবাসী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক।
বিডি প্রতিদিন/এএ