প্রকাশক, লেখক, ব্লগারসহ একের পর এক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পূর্বঘোষিত মিছিলটি শাহবাগ থেকে টিএসসি-দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট পেরিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টায় ছয়টি কফিন নিয়ে এ মিছিল বের হয়। পুলিশি বাধার পর গণজাগরণের কর্মীরা সেখানেই অবস্থান নিয়েছেন।
মিছিলে ব্লগার রাজীব হায়দার, লেখক অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নীলাদ্রি চট্টোপ্যাধায় ওরফে নীলয় নীল ও সর্বশেষ প্রকাশ ফয়সাল আরেফীন দীপনের হত্যার প্রতিবাদে ছয়টি কফিন সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া ‘পরবর্তী টার্গেট কে’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
মিছিলে ‘মুক্তচিন্তায় হামলা, রুখে দাঁড়াও বাংলা’, ‘বাধা আসবে যেখানে, লড়াই হবে সেখানে’, ‘বাধা এলে বাধবে লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘চলছে লড়াই চলবে, শাহবাগ জিতবে’, ‘একাত্তর স্মরণে ভয় করি না মরণে’ প্রভৃতি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ।
প্রসঙ্গত, জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা এবং শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর মালিক আহমেদ রশিদ টুটুল, কবি তারেক রহিম এবং লেখক রণদীপম বসুর উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সারাদেশে অর্ধবেলা হরতাল পালন শেষে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একই দবিতে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হবে।
এদিন, ইমরান এইচ সরকার বলেন, প্রতীকী এই কফিন মিছিলের মাধ্যমে আমরা সরকারকে জানাতে চাই, খুন হওয়া প্রতিটি মানুষের মৃত্যুর দায় তদেরকেই নিতে হবে। কেননা রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে নিরাপত্তা দেয়ার যে দায়িত্ব সরকারের উপর জনগণ দিয়েছে, তারা সে দায়িত্ব পালন করছে না।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব