যাত্রাবাড়ী থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গতকাল ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকার এক গৃহবধূ ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি শংকরসহ পুলিশের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন— মুগদা থানার এসআই আবদুল কাদের (১ নম্বর আসামি), যাত্রাবাড়ী থানার এসআই জসিম, জামাল ও কনস্টেবল দেবাশীষ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাজধানীর মুগদা থানার এসআই আবদুল কাদেরের মেয়ের সঙ্গে মামলার বাদিনীর ছোট ভাই ইমরানের ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর বিয়ে হয়। পরে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ইমরান আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন পান। পরে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি ইমরানকে দেখা করতে বলেন। ইমরান যাত্রাবাড়ী থানায় গিয়ে এসআই জসিমের সঙ্গে দেখা করলে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সে ঘুষ দিতে অস্বীকার করে চলে আসেন। পরে ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর ইমরানকে ১ নম্বর আসামির বাসায় ডেকে এনে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। এরপর বাদিনীকে ফোন করে ওই বাসায় আসতে বলা হয়। বাদিনী বোনকে নিয়ে এলে ১ থেকে ৩ নম্বর আসামি অসৎ উদ্দেশ্যে যৌন কামনা চরিতার্থে তার হাত ধরে টানাটানি করে এবং বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের গাড়িতে করে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় ওসি বাদিনীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে এবং হাত ধরে টানাটানি করে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা