জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেড (এসএইচবি)এর সামরিক আস্তানা থেকে অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার চার্জশিট দিয়েছে র্যাব। চার্জশিটে বিএনপি নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, তার সাথে গ্রেফতার হওয়া আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপন, হামজা ব্রিগেডের সামরিক কমান্ডার মনিরুজ্জামান ডন, বাঁশখালীর সামরিক আস্তানা থেকে গ্রেফতার হওয়া মোবাশ্বের হোসেন, আবদুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রহমন, আমির হোসেন ইসহাকসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার র্যাব-৭ সহকারি পরিচাল রুহুল আমিন বাঁশখালীর আদালতের বিচারক সাজ্জাদ হোসেনের আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।
র্যাব-৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ মামলার ২৮ আসামির মধ্যে ২১ জন কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে র্যাব। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ১০২ জনকে। চার্জশিটে অভিযুক্তদের কার কি ভূমিকা ছিল তা তথ্য-প্রমাণসহ উপস্থাপন করা হয়েছে।
হামজা ব্রিগেডের সন্ধানের পর থেকে অর্থ যোগানদাতা হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক আল্লামা লিবদির নাম আসলেও চার্জশিটে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে র্যাব-৭ অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দিন বলেন, বিদেশি নাগরিক লিবদির ঠিকানা কিংবা বিস্তারিত পাওয়া যায়নি। তাই চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ঠিকানা পাওয়া গেলে পরে তাকেও অর্ন্তভুক্ত করা হবে।
গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প খুঁজে পায় র্যাব। ওই প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে তিনটি একে ২২ রাইফেল, ছয়টি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, তিনটি দেশি বন্দুকসহ বোমা তৈরি ও প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেমে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি র্যাব-৭ এর উপ-সহকারি পরিচালক গোলাম রাব্বানি বাদি হয়ে দু'টি মামলা দায়ের করেন। গত বছরের ১৮ আগস্ট ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। তাদের বিরুদ্ধে শহীদ হামজা ব্রিগেডকে অর্থ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। তিন আইনজীবীকে চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলেও এই প্রথম তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২০ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ