সিলেটে কলেজ শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় বদরুল আলমের বিরুদ্ধে আরও ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রবিবার সকাল ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে তারা সাক্ষ্য প্রদান করেন। এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর এ মামলায় ১৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন। আজ আরও ১৫ জন মিলিয়ে এ মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হল।
আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান জানান, খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় আজ আদালতে ১৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। উল্লেখযোগ্য সাক্ষীরা হলেন খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, বদরুলের জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা, ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তার আতাউল গণি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
তিনি আরও জানান, আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য্য করেছেন। সেদিন স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং খাদিজাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন এবং ২৯ নভেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর, ২০১৫/ মাহবুব/ রশিদা