ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহের পুনঃময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষায় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রবিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দিয়াজের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই ময়নাতদন্ত শেষ হয় বিকাল ৩টায়।
ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম ময়নতদন্ত সম্পন্ন করেন। অন্য দুই সদস্য হলেন- একই বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস ও কবির সোহেল।
ময়নাতদন্ত শেষে বেরিয়ে সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, দিয়াজের শরীর থেকে ভিসেরা, গলা থেকে টিস্যু ও দাঁত সংগ্রহ করা হয়েছে। তার শরীরে আমরা আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। নমুনাগুলো হিস্টোপ্যাথলজিতে পাঠানো হবে। এর আগে আমরা সিন অব ক্রাইম ভিজিট করবো। সবকিছু পর্যালোচনার পর আমরা একটি ফাইনাল রিপোর্ট দেবো।
চিকিৎসকের মুখে এমন কথা শোনার পর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত দিয়াজের স্বজনদের মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার হলেও তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দিয়াজের মা জাহেদা আমিন ছেলের ছবি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ছেলের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ছেলের হত্যার বিচারের জন্য আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ে যাবো।
গত ২০ নভেম্বর রাত পৌনে ৯টার দিকে নিজের বাসার ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফানকে। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে তার আত্মহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। দাবি করা হয়, দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১১ ডিসেম্বর, ২০১৬/মাহবুব