ধর্ষণের পর আট তলা থেকে ফেলে হত্যা করা হয় গৃহকর্মী খাদিজা বেগত জান্নাতকে। ধর্ষণের প্রমাণ না রাখতে ‘ধর্ষক’ ফাওয়াদ পরিকল্পিতভাবে জান্নাতকে হত্যা করে।
রবিবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম শাহাদত হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্মী লায়লা বেগম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গৃহকর্মী জান্নাত হত্যাকাণ্ড নিয়ে রবিবার আদালতে জবানবন্দি দেন লায়লা। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর বিকেলে জান্নাত রুম থেকে বের হয়ে ফাওয়াদ তাকে ধর্ষণের কথা বলে। এরপর তাকে বারান্দায় ডেকে নিয়ে ৮ তলা থেকে ফেলে দেয়। পরে বিষয়টা জানাজানি হলে পালিয়ে যায় ফাওয়াদ। জবানবন্দিতে লায়লা আরও জানান, ফাওয়াদ এর আগে তাকেও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু বুদ্ধির জোরে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পায় সে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পূর্ব নাছিরাবাদের একটি ভবনের নিচ থেকে জান্নাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জান্নাতের বাবা মুহাম্মদ ছৈয়দ বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভবনের মালিক মাহমুদুল্লাহ ও তার স্ত্রী শায়েলা খাতুন এবং দুই ছেলে ফারাজ ও ফাওয়াদকে আসামি করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/১১ ডিসেম্বর, ২০১৬/মাহবুব