ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকে সংস্কার আনার প্রয়োজন ছিল। অনেকে এটাকে লোক দেখানো পরিবর্তন বলছেন। কেউ বলেছেন, এটা স্থায়ী হবে না। কিন্তু হুট করেই কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে পরিবর্তনটা আনতে হবে। সে হিসেবে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত 'জঙ্গিবাদ ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে ড. একে আজাদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকে সংস্কার আনার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে সেটার উপর ভিত্তি করেই রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট রিসার্স ইন্সটিটিউট (রাত্রি) ওই বৈঠকের আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী আরও বলেন, ইসলামী নাম ব্যবহার করে কাউকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। শুধু ইসলামী ব্যাংকই নয়, যাতে কোনো প্রতিষ্ঠান এ পথ অবলম্বন না করে- সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যাংকগুলো থেকে কোনো রাজনৈতিক রঙধারী কিংবা বিশেষ শ্রেণির মানুষ যাতে কোনো সুবিধা না পায়। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে কোনো বৈষম্য করা যাবে না। ব্যাংকিং খাতের সুবিধাটা যাতে সবাই ভোগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ড. হাফিজুর রহমান কার্জন, ড. জিনাত হুদা, বাংলাদশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রশিদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল প্রমুখ। বৈঠকে সঞ্চালনা করেন সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল ‘নিউজ২৪’ এর আনোয়ার সাদি।
বিডি প্রতিদিন/১৪ জানুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা