অপহরণের এক সপ্তাহ পরেও রাজশাহীর পবার স্কুলছাত্রী আয়েশা আক্তার ওরফে লাকিকে (১৬) উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে দারুণ হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে লাকির পরিবারের সদস্যদের দাবি, অপহরণকারীরা পুলিশকে প্রভাবিত করে ফেলেছেন। এ কারণে লাকিকে এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
অপহৃত লাকি পবা উপজেলার মদনহাটি গ্রামের আশরাফুল আলমের মেয়ে এবং উপজেলার পুঠিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ১৭ জানুয়ারি সকালে স্কুল যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এনিয়ে গত রবিবার লাকির বাবা আশরাফুল আলম বাদী হয়ে পবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, স্কুল আসা-যাওয়ার পথে তার মেয়েকে উত্যক্ত করতো মোহনপুর উপজেলার হরিফালা গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে মো. আলম (৩৫)। আলম বিবাহিত এবং তার তিনটি সন্তানও আছে। তাই লাকি তার উত্যক্তের বিষয়টি পরিবারের সবাইকে জানিয়েছিল। এরপর তিনি আলমকে এসব করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লাকিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল আলম। গত ১৭ জানুয়ারি সহযোগিদের নিয়ে আলম তার মেয়েকে তুলেও নিয়ে যায় বলে অভিযোগ লাকির বাবার।
এ ঘটনার পর দিনাজপুর থেকে কৌশলে তার মেয়ে তাকে ফোন করে জানায়, আলম তাকে তুলে নিয়ে এসেছে। এরপর তিনি আলমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়েকে ফেরত পেতে চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু আলমের পরিবারের কেউ এ ব্যাপারে কোনো সহায়তা করেননি। বাধ্য হয়ে তিনি থানায় মামলা করেন।
মামলায় আলমসহ তার বাবা মো. হালিম (৫৫), ছোট ভাই মো. জাহাঙ্গীর (৩০), চাচা মেসের আলী (৬০) ও বোন জামাই মো. মিন্টুকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে হালিম, মেসের আলী ও জাহাঙ্গীরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা কারাগারে। তবে আলম ও মিন্টু এখনও গ্রেফতার হয়নি। অপহৃত লাকিও উদ্ধার হয়নি।
তবে জানতে চাইলে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মেয়েটিকে দিনাজপুর অথবা ঠাকুরগাঁওয়ে রাখা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
বিডি-প্রতিদিন/২৫ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব