৫০০ শয্যার বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২০টি চিকিৎসক পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৫৯ জন। তাদের সহায়ক হিসেবে কাজ করেন ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা। ৫শ’ শয্যার হাসপাতালে রবিবারও (৫ মার্চ) রোগী ভর্তি ছিলো ১ হাজার ৬৪০জন। সীমিত চিকিৎসক দিয়ে বিপুল সংখ্যক রোগীর স্বাভাবিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না কোন সময়ই। এরই মধ্যে গত দুই দিন ধরে কাজে আসছেন না ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা। এতে রোগীদের সেবা ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।
যদিও হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, মিড লেভেলের চিকিৎসকরা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে চিকিৎসা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন। ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ মেডিসিন এবং পুরুষ অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে কথা বলে চিকিৎসা না পাওয়ার বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগে মোটামুটি ডাক্তার পাওয়া গেলেও গত দুই দিন ধরে প্রায় চিকিৎসাহীন থাকার অভিযোগ করেছেন অনেক রোগী ও তাদের স্বজনরা। চিকিৎস না পাওয়ায় শেরে-ই-বাংলা মেডিকেলকে ‘মেডিকেল’ বলতে নারাজ রোগী ও তাদের স্বজনরা।
শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ইউনিট-২ এর রেজিস্ট্রার ডা. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ইন্টার্ণ চিকিৎসকরা হাসপাতালের প্রাণ। তারাই সাধারণত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তারা না থাকায় সেই প্রাথমিক চিকিৎসাসহ সব ধরণের স্বাস্থ্য সেবাই দিতে হচ্ছে মিড লেভেলের চিকিৎসকদের। এ কারনে সিনিয়র চিকিৎসকরা হাফিয়ে উঠছেন।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. আব্দুল কাদের বলেন, ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি সুষ্ঠু-স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা পেতে রোগী, রোগীর স্বজন এবং ইন্টার্ণ চিকিৎসকদের গ্রহণযোগ্য আচরণ করার তাগিদ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ