তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাল্যবিয়ের ফলে প্রজনন অধিকার ও যৌন অধিকার- এই দুটি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। এটি একটি শিশুকে শিক্ষার অধিকার থেকে, যৌনস্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত করে। তাকে নির্যাতনের দিকে ঠেলে দেয়, ক্ষেত্রবিশেষে মেয়েদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। তাই প্রচারণার সময় বাল্যবিয়ের ফলে যে ক্ষতিগুলো হয়, সেটা তুলে ধরতে হবে।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাল্যবিয়ে বন্ধ করার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আচরণগত ও সামাজিক পরিবর্তন ঘটাতে সোমবার জাতীয় মাল্টিমিডিয়া প্রচারণার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
ইনু বলেন, “বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে দেশব্যাপী গণমাধ্যমের প্রচারণা একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। আমাদের আইন থাকার পরেও বাল্যবিয়ে হচ্ছে। আর সে কারণেই এই প্রচারণা। “তবে শুধু মেয়েরাই নয়, ছেলেদেরও ২১ বছরের নিচে বিয়ে আইনত দণ্ডনীয়। এটিও প্রচারণার অধীনে আনতে হবে।”
এক্ষেত্রে সরকারের নানা কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, “যখন সরকার কোনো বিষয়ে সোচ্চার থাকে, তখন তার আওতাধীন কর্মকর্তারাও সোচ্চার থাকে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আমাদের ইউএনও, ডিসি, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংস্থা মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন; যার ফলশ্রুতিতেই বাল্যবিয়ে কমে এসেছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার বিনোয়েত পিয়েরে লারামি।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন