নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এর গণশুনানি শেষে তাৎক্ষণিক সংযোগ পেয়েছে অন্তত ২০ জন গ্রাহক। প্রধান প্রকৌশলী এনওসিএস (সাউথ) এর দফতরে সোমবার সকালে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান দেন ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ।
যারা তাৎক্ষণিক সংযোগ পেয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন শীতলক্ষ্যা জোনের গ্রাহক হাসিনা বানু, মো. সাব্বির, মো. ইদ্রিস আলী, পূর্ব জোনের গ্রাহক হাজী আব্দুর রহিম, আব্দুস সাত্তার, শাকিল আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা কামাল, পশ্চিম জোনের গ্রাহক মুসলিম হোসেন, মমতাজ বেগম।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান। এছাড়া ছিলেন ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (অপারেশন) এটিএম হারুন অর রশিদ, নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) রমিউদ্দিন সরকার, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেন, জিএম (আইসিটি) রবিউল হাসান, প্রধান প্রকৌশলী সারোয়ার কায়নাথ নূর, প্রধান প্রকৌশলী এনওসিএস (সাউথ) দেওয়ান আবুল কালাম আজাদ, ফতুল্লা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন ফকির, শীতলক্ষ্যা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল হোসেন, পূর্ব জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ কবির, পশ্চিম জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছ মুরাদ প্রমুখ। এছাড়া সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সিবিএ’র নেতা হাতেম আলী সরকার, এস এম শাহ সেকান্দার, স্বপন রেজা ওয়াহিদ, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
শুনানিতে বক্তারা নারায়ণগঞ্জের ১২টি জোনের মধ্যে ফতুল্লা ও শীতলক্ষ্যা জোনের অবস্থা সবার চেয়ে ভাল বলে উল্লেখ করেন।
গণশুনানিতে বিভিন্ন গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তরে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, নারায়ণগঞ্জের অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। তবে সেটা সংখ্যায় অত্যন্ত কম। এ বিষয়ে আমাদের সোচ্চার ও সতর্ক হতে হবে। যদি আপনারা কোথাও এ ধরনের তথ্য পান তাহলে আমাদের জানাবেন। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন গ্রাহককে হয়রানি করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অ্যাকশন নেয়া হবে। কোন সেবা পেতে ডিপিডিসির কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারীকে ঘুষ দিয়ে উৎসাহিত করা যাবে না। আপনারা যদি দুর্নীতির আবর্তে থাকেন তাহলে আমাদের করার কিছু থাকবে না। নতুন সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে অন্যায়কারী ও দুস্কৃতিকারীর খপ্পরে না পড়ে গ্রাহকসেবা ডেস্ক কিংবা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার আহবান জানান তিনি।
এমডি আরও বলেন, গতকাল পরশু ছিল আমাদের হাইয়েস্ট জেনারেশন যা ৯ হাজার ৯৪৯। আমরা জেনারেশনের পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউশন খাতকেও আধুনিকায়নের চেষ্টা করছি। এই নারায়ণগঞ্জেও আমরা অনেকগুলো সাবস্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা এখনো শতভাগ সেবা দিতে পারছি না। আমাদের অনেক কিছুরই ঘাটতি রয়েছে। আমরা শিখে শিখে করছি। বিদ্যুতের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থা ওভারহেড না হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড হলে আমাদের জন্য ভাল হতো। সরকার ইতিমধ্যে ঢাকা সিটিতে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে।
প্রিপেইড মিটার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা আমাদের মিশন ও ভিশন। এই কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে সারাদেশে চলবে। আগামী বছর নারায়ণগঞ্জে প্রিপেইড মিটার সিস্টেম চালু হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৯ মার্চ, ২০১৮/ফারজানা