মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বুধবার বেলা ৩টায় আইসিটি টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁও-এ আইসিটি বিভাগের পক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে আইসিটির ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সমবেত জাতীয় সংগীত, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হতে পাঠ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এনডিসি মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন। দেশের প্রতি বর্তমান প্রজন্মের দায়বদ্ধতার কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বীর মু্ক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বলেন, দেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছিল অপার আস্থা। তার ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অস্ত্রের চেয়ে নিবেদিত যোদ্ধা ছিল বেশি। সবাই যুদ্ধ করতে চেয়েছিল। সবাই তার ডাকে মরার জন্য প্রস্তুত ছিলে। ভারতে কতশত মানুষ যে প্রশিক্ষণ নিয়েছে, নিজ চোখে তা দেখেছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের চেয়ে সব দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান যেখানে ৮১ টাকা, সেখানে পাকিস্তানি রূপির মূল্যমান ১৪১ রূপি। এখান থেকেই দুই দেশের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুণর্গঠনে যখন বঙ্গবন্ধু হাত দিয়েছিলেন তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। এসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ১৯৭৪ সালেই তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ যোগ দেয় আন্তর্জাতিক টেলিকেমিউনিকেশন ইউনিয়নে (আইটিইউ)। তারই সিদ্ধান্তে বেতবুনিয়ায় স্থাপন করা হয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/২৭ মার্চ ২০১৯/আরাফাত