প্রতিবছর খরচ করতে না পারায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফেরত যায় ৫০০ কোটি টাকা। অথচ শুধু নীতিমালার অভাবে দেশের বেসরকারি কলেজের সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক নিয়মিত বেতন পান না। বেসরকারি কলেজের অনেক শিক্ষক আড়াই হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন। এখানে সর্বোচ্চ বেতন মাত্র দশ হাজার টাকা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ সংশোধনের দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে সংশোধিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োজিত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজ বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
এসময় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদ অধ্যক্ষ শাজাহান আলম সাজু উপস্থিত ছিলেন। সরকারপন্থী এই শিক্ষক নেতা শিক্ষদের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের আহবায়ক নেকবর হোসাইন। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব মো. মেহরাব আলী। বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষক নিয়োগে সরকারি আইন (এনটিআরসিএ)-এর তোয়াক্কা না করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিতে রীতিমতো বাণিজ্য করছে। আর কলেজগুলোর কর্তৃপক্ষ করছে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য। কলেজগুলোতে সরকারি বিধিমালা না থাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছামতো অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালুর অনুমোদন দিচ্ছে। আবার বেআইনভাবে তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্পে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত রাখছেন, অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োজিত শিক্ষকরা এমপিও দাবি করতে পারবে না। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের ৮৫৭টি কলেজে অনার্স ও মাস্টার কোর্স চালু আছে। এরমধ্যে ২৯৯টি সরকারি কলেজ, ৩০২টি জাতীয়করণকৃত কলেজ ও মাত্র ২৫৬টি বেসরকারি কলেজ রয়েছে। জেলা উপজেলা শহরের এসব কলেজগুলোতে সাধারণ গরীব পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনা করে। কিন্তু তাদেরকেই দিতে হয় সবচে’ বেশি বেতন সর্বনিম্ন চারশ’ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা। এরফলে উচ্চশিক্ষা থেকে অনেকই ঝড়ে পড়ছে। অথচ সরকারি কলেজের ছাত্রদের বেতন মাত্র ২৫ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার