২৫ নভেম্বর, ২০২০ ২০:১৫
আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বক্তারা

কার্যকর তামাক কর ব্যবস্থার জন্য ‘জাতীয় তামাক কর নীতি’ প্রণয়ন জরুরি

অনলাইন ডেস্ক


কার্যকর তামাক কর ব্যবস্থার জন্য ‘জাতীয় তামাক কর নীতি’ প্রণয়ন জরুরি

আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারীরা।

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি হলো দাম বাড়িয়ে একে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে আনা। এতে একইসাথে তামাকের ব্যবহার কমে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু জটিল তামাক কর কাঠামোর জন্য তা তামাক নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। তাই বাংলাদেশে কার্যকর তামাক কর ব্যবস্থার জন্য ‘জাতীয় তামাক কর নীতি’ প্রণয়ন জরুরি।

বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি), বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি নলেজ হাব অন টোব্যাকো ট্যাক্সেশন অ্যান্ড ইলিসিট ট্রেড কর্তৃক আয়োজিত ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তামাক করের প্রবণতা, বিশেষত বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব বলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, বহুস্তরভিত্তিক দুর্বল কর কাঠামো এবং তামাকজাত দ্রব্যের ধরনে বিচিত্রতার দরুন দাম বাড়লে বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় রেখে সময়োপযোগী তামাক কর ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে সে লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি বিস্তৃত তামাক কর নীতি গ্রহণের কথা বলেছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণে দ্রুত জাতীয় তামাক কর নীতি প্রণয়ন করতে হবে। যার মধ্যে করারোপসহ কর আদায় পদ্ধতি ও পর্যবেক্ষণ, ট্রাকিং ও ট্রেসিং, কর ফাঁকি বন্ধ, আমদানি-রফতানি, তামাক করসংক্রান্ত প্রশাসনিক বিষয়াদিসহ তামাক কর সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়াদি যুক্ত থাকবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর