মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাংবাদিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান। মঙ্গলবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে তৃতীয় জানাজা শেষে মিজানুর রহমান খানের মরদেহ নেওয়া হয় কারওয়ান বাজারে তার কর্মস্থল প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে। সেখানে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সহকর্মীরা এই বরেণ্য সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও নানা পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বেলা দেড়টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মিজানুর রহমানের মরদেহবাহী গাড়িটি পৌঁছায়। কবরস্থানে তার স্ত্রী, সন্তান, পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও প্রথম আলোর সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে মিজানুর রহমান খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় দেড় মাস করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি মা, স্ত্রী, তিন সন্তান, পাঁচ ভাই, তিন বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বরিশালের বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী মিজানুর রহমান খান তিন দশক ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি সংবিধান ও আইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গবেষণাধর্মী লেখা লিখেছেন মিজানুর রহমান খান। তার একাধিক বইও প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-‘সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক’ এবং ‘১৯৭১: আমেরিকার গোপন দলিল’।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন