সরকার নৃশংসতার সব সীমা অতিক্রম করেছে দাবি করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণআন্দোলন দমাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে সরকার। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের হামলা-ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের আটক এবং সভা-সমাবেশে বাধা প্রদান সরকারের চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। উসকানিমূলক আচরণের মধ্য দিয়ে সরকার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর দায় সম্পূর্ণভাবে সরকারকে নিতে হবে।
বিএনপির নেতা কর্মীদের ওপর হামলা, গণগ্রেফতার ও গুলির ঘটনাসহ দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘পুলিশ এবং দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে তারা বিরোধী দলের নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়ে সরকার ভয়াবহ, ভীতিকর ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে সরকার গণআন্দোলন দমনের জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে।’
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সকল বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির যুগপৎ লড়াইয়ের মাধ্যমেই অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আমরা আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি। সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে যুগপৎ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তুলবে গণতন্ত্র মঞ্চ।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক