খুলনায় ‘বিংশ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ গণহত্যা: পরিণাম, প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচার’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়েছে আজ। সকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে দেশপ্রেমিক বাঙালিদের অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে প্রতিদিন অসংখ্য নারী-পুরুষের লাশ ভেসে যেতে দেখেছি। বিজয়ের পর দেখা যায় ময়মনসিংহসহ সারাদেশের বধ্যভূমিগুলোতে হাজার হাজার মানুষের লাশ শেয়াল-শকুনে খাচ্ছে আর মানুষেরা তাদের হরানো স্বজনের লাশ খুঁজে ফিরছে। আজকের তরুণ প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তাদের এই ইতিহাস জানাতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। তিনি বলেন, গনহত্যার আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতির জন্য ভারত থেকেই শুরু হক যাত্রা। সরকারকে সরকারকে অনুরোধ করতে হবে। এ ছাড়া আইনত স্বীকৃতি হবে না। স্বীকৃতির জন্যই আমরা এই আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ভারতের জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় কে ভরদ্বাজ।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের চারটি অধিবেশনে দেশ-বিদেশের প্রায় ২০ জন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল