সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিকনির্ভরতা কমাচ্ছে সরকার

সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা

মানিক মুনতাসির

বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বৈদেশিক সাহায্যনির্ভরতা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য এমন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। শুধু তা-ই নয়, ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসছে সরকার। ১৪ নভেম্বর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর  বরাবরও  পাঠানো হয়েছে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে বৈদেশিক সাহায্য, ঋণ ও অনুদানের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ধরা হবে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়িয়ে নিজেদের মধ্যে চাহিদা বাড়ানো। সেই সঙ্গে নিজেদের চাহিদা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে পূরণের চেষ্টা করা। বিশেষ করে উন্নয়ন প্রকল্পে নিজেদের অর্থায়নের অংশ বাড়িয়ে আনা। ধীরে ধীরে বৈদেশিক সাহায্য বা ঋণনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসা। এদিকে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি সামান্য কিছু বাড়লেও অর্থ ছাড়ের পরিমাণ কমেছে। বাজেটের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছর ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল বাজেট ঘাটতি সত্ত্বেও বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকার। অবশ্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছ থেকে মধ্যম আয়ের স্বীকৃতি পেলে বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের পরিমাণ নিয়ম অনুযায়ীই কমে আসবে, যার অনুশীলন ইতিমধ্যে শুরু করেছে সরকার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশের অভ্যন্তরে অনেক অব্যবহৃত সম্পদ রয়েছে। সেগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করতেই এ ধরনের পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে তিনি মনে করেন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে উন্নয়ন-সহযোগীদের বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেছে অর্থ ছাড়ের পরিমাণ। এ সময় এক হাজার ১৬৮ কোটি ডলার অর্থের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন-সহযোগী সংস্থা ও দেশ। গত অর্থবছরের একই মাসে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল চার কোটি ডলার। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছরের একই সময়ে অর্থ ছাড়ের পরিমাণ কমেছে সাড়ে ১২ কোটি ডলার।

সর্বশেষ খবর