শনিবার, ২৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাছের দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাছের দাম চড়া

বাজার দর

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল। সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও ক্রেতার অভাব দেখা গেছে। ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিন কেটে গেলেও জমজমাট হয়নি বাজার। তবে মাংস ও সবজিসহ সব পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। তবে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ টাকার বেগুন হয়েছে ৪০ টাকা, ৬০ টাকার কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, ৩০ টাকার শসা ২০ টাকা, ১৫০ টাকার ধনে ও পুদিনা পাতা ১০০ টাকা, ৬০ টাকার চিনি ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর ভাসানটেক বাজারের ক্রেতা শহিদুল ইসলাম    বলেন, রমজান মাসের শেষে পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অন্য যে কোনো দিনের তুলনায় নিত্যপণ্যের বাজারে পণ্যের দাম কম ছিল। নাড়ির টানে মানুষ গ্রামে যাওয়ায় বাজারে ছিল ক্রেতা সংকট। সরেজমিন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, দাম কমার তালিকায় ছিল সবজি এবং মাংস। এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকায়। অন্যান্য বছরের মতো চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম অতটা বাড়েনি। ফলে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পণ্যের দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজার করতে আসা সরকারি কর্মকর্তা খালেদ হোসেন বলেন, কোনো পণ্যেরই সরবরাহে কোনো কমতি নেই। দুই সপ্তাহ আগে বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজিতে। আর গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। এ ছাড়া ৬০ টাকার কাঁচামরিচ ৩০ টাকা, ৩০ টাকার শশা ২০ টাকা, ৩০ টাকার টমেটো ২০ টাকা, ১৫ টাকা হালির লেবুর দামও এখন রাখা হচ্ছে ১০ টাকায়।

 তবে সবজির বাজারে দাম কমেছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল রাজধানীর বনানী বাজার ঘুরে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবজি বাজারের মতোই মুদি দোকানেও পণ্যমূল্য কমেছে। এ ছাড়া কেজি প্রতি পিয়াজে (ভারতীয়) ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, দেশি পিয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ১২০ টাকার বদলে ১১০ টাকা, আদা ১২০ টাকার বদলে ১১০ টাকা, মসুর ডাল ৯০ টাকার বদলে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভোজ্য তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০-৬৫০ টাকায়। আর ব্রয়লার মুরগিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। এ ছাড়া  লেয়ার মুরগি ১৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে বিক্রেতারা যে যেমন পারছেন দাম আদায় করছেন। ত্রেতারা বলেছেন, সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। দাম একটু বেশি। ৫০০ গ্রাম ২৫০ টাকা, ৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া রূপচাঁদা ৭০০ টাকা, রুই ২৮০ টাকা, কাতলা ২৫০ টাকা, মান ভেদে চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, শোল ৪০০ টাকা, পুঁটি ৩০০ টাকা, কাচকি মাছ ২৮০ টাকা, পাবদা ৭০০ টাকা ও লইট্যা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর