বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

পানির দুঃখ কাটছে খুলনাবাসীর

জুনে বিশুদ্ধ পানি পাবে ১৫ লাখ মানুষ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

পানির দুঃখ কাটছে খুলনাবাসীর

খুলনায় বহুল প্রতীক্ষিত পানি সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে আগামী মে মাসে। মধুমতি নদী থেকে পাইপলাইনে পানি এনে তা পরিশোধন (ট্রিটমেন্ট) করে খুলনা শহরে সরবরাহ করা হবে। এরই মধ্যে শহরে ৬৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। পরিশোধন প্লান্ট, ৭টি জলাধার (রিজার্ভার) ও ১০টি ওভার হেড ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মধুমতি নদীর তীরে ১৫ কোটি লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন পানি সংগ্রহের ইন্টেক পাম্প স্টেশন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা ওয়াসা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। জানা যায়, খুলনা মহানগরীতে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। এ সংকট নিরসনে মহানগরীর ১৫ লাখ মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে ২০১৩ সালে আড়াই হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প হাতে নেয় ওয়াসা। ২০১৭ সালের জুন মাসে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু দুদফায় সময় বাড়ানো হয়েছে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এম ডি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগামী জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন মেয়াদ বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যা চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়। এখন শহরের কিছু জায়গায় চেম্বার ও পাইপ সংযুক্তকরণ এবং রাস্তা সংস্কারের কাজ বাকি। ওয়াসা সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে খুলনা শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে মধুমতি নদী থেকে পানি সংগ্রহ করা হবে। পাইপের মাধ্যমে অপরিশোধিত পানি এনে খুলনার রূপসার তিলক ও পাথরঘাটায় পরিশোধন করা হবে। খুলনা ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক খান সেলিম আহম্মেদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার সময় অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ কিছুটা পিছিয়ে যায়। ওয়াসা সূত্র জানায়, প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে জিওবি ফান্ডের বাইরে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এডিবি থেকে ৫২৩ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ও জাইকা থেকে ১ হাজার ২৮৪ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর