বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইউএসটিসিতে শিক্ষক লাঞ্ছিত

চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার একজন ফের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার একজন ফের রিমান্ডে

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চিটাগাং (ইউএসটিসি)-এর ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা ড. মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে গ্রেফতার শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানকে ফের এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউদ্দীন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত এক দিন মঞ্জুর করেন। ইউএসটিসি-সূত্রে জানা গেছে, ড. মাসুদ মাহমুদকে লাঞ্ছনার তদন্তে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে এবং তিন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শৃঙ্খলা কমিটি। শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির মো. মাহমুদুল হাসান, মো. মঈনুল আলম ও মোহাম্মদ আলী হোসাইন এবং স্নাতক শ্রেণির মো. শেখ রাসেল।

এর মধ্যে মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেওয়া, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা, গালিগালাজ এবং বই নষ্ট করার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। তা ছাড়া শেখ রাসেল পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন ও শিক্ষার্থীদের জড়ো করেন। বাকি দুজনের বিরুদ্ধে শারীরিক লাঞ্ছনা, খারাপ আচরণ এবং শিক্ষা উপকরণ ক্ষতি করার প্রমাণ মিলেছে। এ তিনজনকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. মাসুদ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি নিজেই ১২ জনের নাম উল্লেখসহ ২১ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল বলে পুলিশসহ সবাইকে বলেছি। কিন্তু এখন মাত্র চারজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকিরা পার পাবে কেন? তাই এ সিদ্ধান্তে আমি চরমভাবে হতাশাবোধ করছি।’ তিনি বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী আবারও অপরাধ কাজে জড়িত হওয়ার জন্য উৎসাহ পাবে। তারা আবারও অন্য কোনো শিক্ষকের ওপর হামলার চেষ্টা করবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর