শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে স্থান-জনবল সংকট

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন ৩০ থেকে ৩৫ জন। তাছাড়া, বিভিন্ন ধরনের থেরাপির সেবা গ্রহণ করেন ২০ থেকে ২৫ জন। অথচ এখানে নেই পর্যাপ্ত জনবল, অবকাঠামো এবং থেরাপির উপকরণ। ফলে অনেক সময় রোগীদের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যেতে হয়, নিতে পারেন না থেরাপি। জেনারেল হাসপাতাল ১৯০১ সালে নগরের আন্দরকিল্লায় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ১২৩ বছর পার হলেও এখানে ছিল না ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ। তবে হাসপাতালের বর্তমান তত্ত্বাবধায়কের উদ্যোগে ১৫ নভেম্বর সীমিত আকারে চালু করা হয় বিভাগটি। এরপর থেকেই এখানে আগত রোগীরা প্রতিদিনই ফিজিক্যাল মেডিসিনের সেবা নিচ্ছেন। কিন্তু এখানে নেই পর্যাপ্ত জনবল, উপকরণ ও স্থান। বর্তমানে একজন কনসালটেন্ট ও নার্স দিয়ে চলছে বিভাগটি। বিভাগটি চালু করতে সরকারি কোনো অর্থায়ন ছিল না। যদিও প্রতি মাসে এ বিভাগ থেকে আয় হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। এখানে নামমাত্র মূল্যে ২৫ থেকে ৫০ টাকায় দেওয়া হয় থেরাপি। হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. পলাশ নাগ বলেন, নতুন চালু হলেও রোগী অনেক। কিন্তু জনবল, পর্যাপ্ত স্থান ও চিকিৎসা উপকরণ সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। এখানে প্রয়োজন তিনজন মেডিকেল অফিসার, তিনজন থেরাপিস্ট ও চারজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।

সঙ্গে থেরাপি মেশিন। এখন একজন রোগীকে সপ্তাহে পাঁচ দিন থেরাপি দেওয়া দরকার হলেও সে রোগী দিতে পারছেন মাত্র দুই দিন।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, স্থানীয় উদ্যোগে নতুন করে বিভাগটি চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জেনারেল হাসপাতাল ১৯০১ সালে নগরের আন্দরকিল্লার রঙমহল পাহাড়ের ওপর প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৮৭ সালে হাসপাতালটিকে ৮০ শয্যায়, পরে ১৫০ শয্যায় এবং ২০১২ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও বর্তমানে চলছে ১৫০ শয্যার জনবল দিয়ে। তবে বৈশি^ক মহামারি করোনার সময় এটি চট্টগ্রামবাসীর জন্য আশীর্বাদ হয়। ২০২০ সালের মার্চে এটিকে চট্টগ্রামের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই হাসপাতালটির সেবার পরিধি বিস্তৃতি লাভ করে এবং যোগ হয় নতুন নতুন সেবা ও চিকিৎসা উপকরণ। এখানে স্থাপন করা হয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট, নতুন করে ১০টি আইসিইউ শয্যা, আট শয্যার হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) ও ওয়াশিং প্ল্যান্ট, দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সসহ নানা সুবিধা। বর্তমানে হাসপাতালে মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, শিশু, নাক-কান-গলা, অর্থোপেডিক্স, চক্ষু, আইসিইউ ও এইচডিইউর অন্তঃবিভাগ চালু আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর