রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী (১৫)। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ছাত্রীর পিতার পাঁচ হাজার টাকা ও জেনে শুনে ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করতে আসা বরের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বাবা-মা তাদের কন্যার লেখাপড়া চালিয়ে যাবেন বলে আদালতের কাছে অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন। গতকাল দিবাগত রাত ১১টায় উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর পোস্ট অফিসপাড়া গ্রামে ৯ম শ্রেণিতে পড়া ওই ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুবেল রানা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্যনাথপুর পোস্ট অফিসপাড়া গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। তার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল পাশের পশ্চিম রহিমাপুর গ্রামের মৃত দারাজ উদ্দিনের ছেলে নওয়াব আলীর (২০) সঙ্গে। খবর জানতে পেরে পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুবেল রানা বাল্যবিয়ে বন্ধ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উভয় পক্ষের জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।