জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে এ সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে। একজন নাগরিক যেন দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আবার যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি যেন সংসদ নেতা না হতে পারেন। এ ছাড়া সংসদীয় পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সংসদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতে হবে।
গতকাল রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাপা মহাসচিব আরও বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। গত ১৫ বছরে দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, আমলা ও পুলিশসহ সবার দুর্নীতির তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনের মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করতে হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে অগ্রাধিকার, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো ও ফ্রিল্যান্সারদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে। পাঠ্যবইয়ের অসংগতি দূর করতে হবে।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ দেশের আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। পুলিশ বাহিনীর যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। আন্দোলনে যেসব নেতা শহীদ হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেক পরিবারে অন্তত একজনের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। থানা লুট ও পুলিশ হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রভাবমুক্ত করতে হবে। বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ সেপারেশনের ব্যবস্থা এবং উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের আইন করতে হবে।