জালিয়াতির মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের ১৮ কোটি ৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সংস্থাটির নারায়ণগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমান মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপক আরকানুল হক, সাম্পান অটোর স্বত্বাধিকারী মো. ইমামুল হাসান ও ব্রোস বিডি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আসাদুজ্জামান সোহাগ। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল জালিয়াতিসহ নানাবিধ ব্যাংকিং অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর শাখায় বিভিন্ন গ্রাহকের নামে শতভাগ মার্জিন সংরক্ষণ না করে ও মিথ্যা তথ্যে এলসি খোলা হয়েছে। যার মাধ্যমে ১৮ কোটি ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৫৯ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মার্জিন সংরক্ষণ, আদায় না করে মার্জিন সংরক্ষণের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য প্রদানপূর্বক এলসি খোলা এক গ্রাহক কর্তৃক জমাকৃত মার্জিন সুবিধা অন্য গ্রাহককে প্রদান এবং এক গ্রাহকের নামে এলসি খুলে অন্য গ্রাহককে আমদানিকৃত পণ্য বিক্রির সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
দুদক বলছে, ২০১৯ সাল থেকে মুন্সীগঞ্জের অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির শাখাটি নারায়ণগঞ্জ ব্যাংকের কোর্ট রোড শাখার মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনার অনুমতি পায়। ২০২০ সালের পর মুন্সীগঞ্জের শাখাটি থেকে বিভিন্ন গ্রাহক যেমন আদনান এন্টারপ্রাইজ, সাম্পান অটো, জিএম করপোরেশনসহ অন্যান্য গ্রাহকের কাছ থেকে ১০০ শতাংশ মার্জিন সংরক্ষণ করে এলসি সুবিধা প্রদান শুরু করে। ওই শাখার অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাম্পান অটোও ব্রোস বিডির মালিকরা ১০০ শতাংশ মার্জিন সংরক্ষণ না করেই ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে অগ্রণী ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জের কোর্ট রোড শাখার মাধ্যমে এলসি খোলা হয়েছে। ২০২১ সালের বিভিন্ন সময় জিএম করপোরেশন, আদনান এন্টারপ্রাইজ ও সাম্পান অটোর নামে এলসি খুলে আত্মসাৎ করা হয় ওই টাকা।