ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে গাছের আম পাড়াকে কেন্দ্র করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে শারীরিকভাবে জখম করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী (১৮তম ব্যাচ) আবদুল্লাহ নোমানকে ক্যাম্পাসে আজীবন নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আলটিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর একাডেমিক সনদ বাতিল, ফৌজদারি মামলা ও ক্যাম্পাসে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক নাজমুস সাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের গাছ থেকে শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই বস্তা আম পাড়েন। এ নিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের কাছে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ নোমান হাতে থাকা ভারী বস্তু দিয়ে শিক্ষক হাসান মাহমুদ সাকির মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ ঘটনায় সেখানে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হতবাক হয়ে যান। আহত শিক্ষককে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে আজীবন নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা তিন দিনের মধ্যে দাবি পূরণের আলটিমেটাম দেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নিন্দা জ্ঞাপন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে আজীবন নিষিদ্ধ, সনদ বাতিল ও তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’