বাংলাদেশ রেলওয়ের অনুমোদন ছাড়া রেললাইন-সংলগ্ন স্থান বা রেলওয়ের মালিকানাধীন জমিতে অবৈধভাবে পশুর হাট বসানো হতে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ঈদুল আজহা উপলক্ষে রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি এবং রেললাইন-সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হতে পারে এমন জেলার প্রশাসকদের এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি আধাসরকারি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, রেলওয়ের মালিকানাধীন জমি এবং রেললাইন-সংলগ্ন এলাকায় অনেক সময় যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ না করে অস্থায়ীভাবে পশুর হাট বসানো হয়। এতে সাধারণ জনগণ ও রেল চলাচলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে এবং রেললাইনে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার কারণে ঈদযাত্রার রেলের শিডিউল বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
পত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, যদি কোনো স্থানে স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় রেললাইন-সংলগ্ন এলাকায় পশুর হাট স্থাপন অত্যাবশ্যক হয়, তাহলে বেশকিছু শর্ত মানতে বলা হয়েছে। এগুলো হলো- হাট স্থাপন করতে রেলওয়ের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। হাট ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ইজারাদারকে অবশ্যই রেললাইনের দিক ঘেঁষে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য বজায় রেখে বাঁশ বা উপযুক্ত উপকরণ দিয়ে শক্ত ঘেরাবেষ্টনী (ফেন্সিং) নির্মাণ করতে হবে। ঘেরাবেষ্টনী এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে ট্রেন চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে এবং হাটে আগত সাধারণ মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্থানীয় পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সমন্বয়ের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।