রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের কর্মসূচিতে হামলার পর টানা পাঁচ মাস খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ক্লাস শুরুর দাবিতে শিক্ষক সমিতির ওপর সব মহলেই চাপ বাড়ছে।
এর মধ্যে কয়েকটি বিভাগে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে হাজির হয়ে শিক্ষকদের জন্য অপেক্ষা করছেন। একইভাবে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরামের ব্যানারে সাধারণ অভিভাবকরাও দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। তবে ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ব্যাপারে এখনো অনড় অবস্থানে রয়েছে শিক্ষক সমিতি।
জানা যায়, সর্বশেষ ২১ জুলাই শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ক্লাস শুরুর ব্যাপারে অধিকাংশ শিক্ষক সম্মতি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে একই প্লাটফর্ম থেকে প্রথমত, দ্রুত ভিসি নিয়োগের ব্যাপারে জোর দাবি জানানো হবে। দ্বিতীয়ত, ভিসি নিয়োগের পর সঙ্গে সঙ্গে ক্লাস শুরু করা হবে।
এদিকে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিরসন এবং দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালুর জন্য অনতিবিলম্বে ভিসি নিয়োগের দাবিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যৌথ উদ্যোগে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন হয়। এতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সাহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০৩ সালে বাংলাদেশের চারটি ইউনিভার্সিটির বিআইটি থেকে ইউনিভার্সিটিতে কনভার্ট হয়। ’৭১-এর অ্যাক্ট অনুযায়ী কুয়েটে একাডেমিক স্বায়ত্তশাসন আছে, কিন্তু প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নিয়ম অনুযায়ী আমাদের একটা বাসা বরাদ্দ কিংবা বাসায় কাউকে উঠাতে ভিসির স্বাক্ষর ছাড়া সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের দ্রুত ভিসি দরকার।