করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবাপ্রদানকারী চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নির্ধারিত এন-৯৫ মাস্কের পরিবর্তে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। একই কারণে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদেরও অপসারণ দাবি করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের এই সংগঠনটি।
অন্যথায় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনতার আদালতেই তাদের বিচার করবে বলে হুঁশিয়ার করেছে তারা। আজ রবিবার ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর গত ১৭ এপ্রিল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, 'ভুলবশত এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে।' তাদের তথাকথিত এই ভুলের জন্যই বর্তমানে শতাধিক চিকিৎসকসহ প্রায় ৩০০ স্বাস্থ্যকর্মী মরণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। পাঁচ শতাধিক কোয়ারেন্টাইনে এবং একজন মেধাবী চিকিৎসক ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। আসলে এটি কোন ভুল নয়, বরং দীর্ঘ ১১ বছর ধরে স্বাস্থ্যখাতে প্রবাহমান দুর্নীতির প্রকাশিত একটি রূপমাত্র।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতর শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করেছেন এবং মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সহানুভূতি আদায়ের একটি প্রয়াস চালাচ্ছেন বলেও মনে করেন ড্যাব নেতারা।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ড্যাব দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চায়, এদেশের চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী ও জনগণ এই কর্মকাণ্ড এবং মিথ্যাচার কখনও মেনে নেবে না। সময় এসেছে ভাঁওতাবাজি ও দুর্নীতির জবাবদিহি করার। জনগণের আদালতে অচিরেই তাদের মুখোমুখি হতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা