বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জাপানেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এতে বাজারে অভাব পড়ে গেছে ফেস মাস্কের। এ অবস্থায় নিজেদের জন্য বাসাতেই ফেস মাস্ক বানানো শুরু করেছেন জাপানিরা। আর সে কারণেই বাজারে সেলাই মেশিন বিক্রির ধুম লেগেছে।
জাপানের মায়েরা সাধারণত মার্চের শেষ নাগাদ সেলেই মেশিন কিনে থাকেন। এপ্রিলে বাচ্চারা নার্সারি ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করে। তাই তাদের কাপড়ের ব্যাগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য এ মেশিন কাজে লাগানো হয়। কিন্তু এ বছর এপ্রিল শেষ হতে চললেও সেলাই মেশিনের জনপ্রিয়তা যেন থামছেই না। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার অনলাইনে শিখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে বাসায় বসে ফেস মাস্ক তৈরি করা যায়।
নাগওয়াভিত্তিক ব্রাদার সেলস লিমিটেড জানায়, ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এ সময়ে তাদের সেলাই মেশিন বিক্রি একবছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেখানো হয়েছে কিভাবে ফেস মাস্ক সেলাই করতে হয়। এর দর্শনার্থী সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার, যা একবছর আগের তুলনায় ৫০০ গুণ বেশি।
ব্রাদার সেলস এর কর্মকর্তা বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এ বছরের পরিস্থিতি ভিন্ন, মানুষ করোনা আতঙ্কে আছে। তাই ভেবেছিলাম সেলাই মেশিন বিক্রি কমবে। কিন্তু ঘটল উল্টোটা। মানুষ ব্যাপকহারে সেলাই মেশিন কিনে নিচ্ছে। অনেক তরুণী মাও কিনছে।’
টোকিওর জেনম সিউং মেশিন কোম্পানি জানায়, মার্চ থেকে এপ্রিলে তাদের বিক্রি একবছর আগের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ২০ শতাংশ। তারা জানায় বিক্রি আরো অনেক বাড়বে। সূত্র: দ্য মেইনিচি
বিডি প্রতিদিন/কালাম