বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকায় একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল এখন করোনা আক্রান্ত রোগীতে পরিপূর্ণ। ৫০ বেডের সরকারি এই ডেডিকেটেড হাসপাতালে রবিবার সকালে আরও ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় তাদের ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেকে বেড না পেয়ে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। হাসপাতালটিতে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় করোনা আক্রন্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে জেলায় নতুন করে ১৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় হাসপাতলে রোগীর চাপ আরও বেড়েছে। করোনার হটস্পট বাগেরহাট জেলায় রবিবার করোনা সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৬.২৪ শতাংশ।
বাগেরহাটের ৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ সাদী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বাগেরহাট জেলায় করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে রাখা যাচ্ছে না। বাগেরহাট জেলায় একমাত্র ৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতাল এখন করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ। প্রতিদিনই বিভিন্ন উপজেলা থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী আসায় এখানে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। রবিবার সকালে আরও ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হওয়ায় তাদের ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালটিতে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এই করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটিতে ৮ জন চিকিৎসক ও ১২জন নার্স রাতদিন পালাকরে ডিউটি করছেন। চিকিৎসক ও নার্সদের অর্ধেক আবার ডিউটি শেষে ১৪ দিনের হোম আইসোলেশনে থাকছেন। এমন অবস্থার মধ্যে একটি এবিজি মেশিন, ৬টা হাইপো ন্যাজাল ক্যানোলা ও প্রতিটি বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনা চিকিৎসা সীমিত সরঞ্জাম ও চিকিৎসকসহ জনবল সংকটের মধ্যেও আমরা করোনা আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন