রংপুর মেডিকের কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা ১৮৮ জনের। প্রতিদিন পরীক্ষা হয় কমপক্ষে ৮০০ জনের। সক্ষমতা বাড়াতে ১০দিন আগে ঢাকা স্বাস্থ্য বিভাগে আরও একটি পিসিআর মেশিন চেয়ে আবেদন পাঠানো হলেও তা এখনও আসেনি। ফলে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সোমবার (১২ জুলাই) সকালে জরুরি ভিত্তিতে এক হাজার লোকের করোনা পরীক্ষার ফলাফল জানার জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে রিপোর্ট এলে উপসর্গ নিয়ে যারা করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন তারা জানতে পারবেন তাদের দেহে করোনা রয়েছে কিনা।
নির্ধারিত সময়ে করোনা উপসর্গ রোগীদের নমুনার পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়ায় শঙ্কাসহ উদ্বেগ কাজ করছে উপর্সগ রোগীদের মাঝে। অনেকেই এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন ফলাফলের জন্য। রির্পোট আসার অনেক আগেই কেউ হচ্ছেন সুস্থ হচ্ছেন, কেউবা সংক্রমিত হচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, রংপুর নগরীসহ জেলার আট উপজেলা থেকে দৈনিক কমপক্ষে ৮০০ নমুনা পাওয়া যাচ্ছে। বেশি নমুনা পাওয়ায় গত দশ দিন ধরে সঠিক সময়ে পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এখনও পাওয়া যায়নি শুধু রংপুরের দুই হাজারের বেশি নমুনার ফলাফল।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ একেএম নুরুন্নবী লাইজু জানান, তার পিসিআর ল্যাবে সর্বোচ্চ দৈনিক ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। আরও একটি পিসিআর মেশিন চেয়ে ঢাকায় আবেদন করা হয়েছে। সোমবার সকালে এক হাজার নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটিমাত্র পিসিআর ল্যাবেই ভরসা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবন্ধা জেলার। এই চার জেলার উপসর্গ দেখা দেওয়া মানুষদের করোনার নমুনা পাঠানো হচ্ছে এখানে। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে কমপক্ষে আরও দুইটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা গেলে নমুনা পরীক্ষার চাপ যেমন কমবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত