পাবনায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২২২ জন। ঢাকা ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এনায়েতপুর খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জন মারা গেছেন।
এদিকে নতুন ভাবে জেলায় ২২২ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঈশ্বরদী উপজেলাতেই ৭৫ জন। এয়াড়াও পাবনা সদরে ৭৬ জন, আটঘরিয়াতে ১৩ জন, ভাঙ্গুড়াতে ৮, ফরিদপুর ৫ জন, সাঁথিয়ায় ২০ জন, বেড়াতে ১৩ ও সুজানগরে ৬ জন।
পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা অংশু প্রতীম বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি মৃত ব্যক্তিদের তথ্য সরবরাহ করতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী তুলি রানী সরকার করোনা আক্রান্ত হয়ে এনায়েতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পাবনা সিভিল সার্জন অফিস রাজশাহী ও ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যুও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেলে আরও একজনসহ বাকিরা পাবনা সদরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মারা যান।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় রবিবার দুপুর ১২টা থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬০০ জনের প্রাপ্ত ফলাফলে পজিটিভ এসেছে ২২২ জনের। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার জন। মারা গেছেন মোট ৩০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার জন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ হাজার ৪৫০ জন।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, মৃত ব্যক্তিদের সংখ্যা নিয়ে কিছুটা তথ্য বিভ্রাট থেকে যায়। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে মারা যাওয়ার রেকর্ড আমাদের কাছে থাকে না। কেবল সরকারি হাসপাতালে মারা গেলে সেই তথ্য আমাদের কাছে সংরক্ষিত থাকে। বাহিরের কোন তথ্য না থাকায় তথ্য নিয়ে মাঝে মধ্যে এলোমেলো হয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন