সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরিক্ষীত ফলাফল ঘোষনা করেছে এবং এই প্রান্তিকে ঈদ-উল-আজহায় রেকর্ড পরিমান বিক্রয় করেছে। ঘোষিত ফলাফলের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো হচ্ছে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বিক্রয় হয়েছে ১১.৬ বিলিয়ন টাকা এবং বিক্রয় বৃদ্ধির হার ২৬.১%। অপ্রত্যাশিতভাবে গ্রীস্মকালে অতিবৃষ্টি হওয়া স্বত্ত্বেও এই ফলাফল অর্জিত হয়েছে। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ, নতুন নতুন বিপণন উদ্যোগ এবং নতুন পণ্যের সমারাহের মাধ্যমে।
তৃতীয় প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১.৩%; সেইসাথে গ্রস মার্জিন বিগত বছরের ২৬.৫% হতে বৃদ্ধি পেয়ে ২৬.৯% এ উন্নীত হয়েছে। সিঙ্গার যথারীতি পরিচালন ব্যয় নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে এবং তৃতীয় প্রান্তিকে পরিচালন ব্যয় বিগত বছরের ১৬.৫% হতে হ্রাস পেয়ে ১৫.৬% হয়েছে।
কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৮৪০.৫ মিলিয়ন টাকা এবং বৃদ্ধির হার ২৩% এবং সমহারে শেয়ার প্রতি আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। সিঙ্গার আর্থিক সেবা সংক্রান্ত কার্যাবলী যেমন ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন, বিকাশ, গ্রামীণ এয়ারটাইম রিলোড এবং ইউটিলিটি বিল প্রদান কার্যক্রম মূল্যের দিক থেকে ৩৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে ৬,৯২,৭৩২ এর অধিক গ্রাহকের পদচারণায় আমাদের বিক্রয়কেন্দ্রগুলো মুখরিত হয়েছে।
সিঙ্গার অনেকগুলো পণ্যের ক্ষেত্রে বিক্রয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে বিশেষভাবে কম্পিউটার ৯২.২%, প্যানেল টেলিভিশন ৩৫%, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস ২৩%, রেফ্রিজারেটর ২০% এবং ফার্নিচার বিক্রয় ৪৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বর ২০১৮ - এ ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড কর্তৃক সিঙ্গার বাংলাদেশকে এএএ (অঅঅ) রেটিং করেছে যা সিঙ্গার এর স্থিতিশীলতারই প্রতিফলন।
তৃতীয় প্রান্তিক ২০১৮ এর ফলাফলের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান গ্যাভিন ওয়াকার উল্লেখ করেন যে, দেশের বিভিন স্থানে অপ্রত্যাশিতভাবে গ্রীস্মকালে অতিবৃষ্টির কারনে আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হলেও সিঙ্গার উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন ও রেকর্ড পরিমান ঈদ বিক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা সিঙ্গার ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে দৃঢ় সংকল্পের জন্য। তৃতীয় প্রান্তিকের নীট আয় ২৩% বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সাথে কমেছে খরচ যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর
