ভিএমওয়্যার ইনকর্পোরেট গ্রাহকদের সুবিধার্থে যেকোনো ক্লাউডে যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, কানেক্ট ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনের ঘোষণা দিয়েছে।
বর্তমানে ১৫ মিলিয়নেরও অধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ক্লাউডে ভিএমওয়্যারের সফটওয়্যার ব্যবহার করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া ৪ হাজার ৩০০-এর অধিক পার্টনার ভিএমওয়্যার ভিত্তিক ক্লাউড সেবা সরবরাহ করে।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল অর্থনীতির দেশে রূপান্তরের জন্য যে চারটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত। সামনের দিনগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ভিএমওয়্যার বিস্তৃত পরিসরের সল্যুশন ও সেবা প্রদান করবে। এর ফলে বাংলাদেশের গ্রাহক ও অংশীদাররা মাল্টি-ক্লাউডের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।
এ প্রযুক্তিক সমাধানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে প্রতিষ্ঠানটির সুরক্ষিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং এ সেবাগুলোর কার্যকর ব্যবহার।
এ প্রসঙ্গে ভিএমওয়্যারের প্রোডাক্টস ও ক্লাউড সার্ভিসেসের চিফ অপারেটিং অফিসার রঘু রঘুরাম বলেন, ‘প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে ক্লাউডের সর্বোত্তম ব্যবহারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাইলফলক অর্জন করেছে ভিএমওয়্যার। বর্তমানে আমরা বিশ্বব্যাপী প্রতিটি বৃহৎ পাবলিক ক্লাউড সেবাদাতা এবং শতাধিক ভিএমওয়্যার ক্লাউড ভেরিফায়েড পার্টনারদের মাধ্যমে গ্রাহকদের অ্যাপ্লিকেশন স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নে সহায়তা দিচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে কৌশলের অংশ হিসেবে ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর দ্রুত স্থানান্তর, আধুনিকীকরণ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় গতি আনতে আমরা আমাদের নিরাপত্তা সেবা, কার্যক্রম ও ক্লাউড অবকাঠামোগত পোর্টফোলিওকে সমৃদ্ধ করতে সচেষ্ট রয়েছি।’
ভিএমওয়্যার মাল্টি-ক্লাউড পোর্টফোলিওর মাধ্যমে ক্লাউড সেবাদাতাদের ক্ষমতায়ন যেসব গ্রাহকদের মাল্টিক্লাউড পরিচালনার জন্য পরামর্শ ও নির্দেশনার প্রয়োজন হয়, তাদের জন্য ভিএমওয়্যার ক্লাউড সেবাদাতা ও ম্যানেজড সার্ভিস প্রোভাইডাররা (এমএসপিএস) বিশ্বস্ত পরামর্শক হিসেবে কাজ করে।
গ্রাহকরা যাতে সহজে সেবা পেতে পারে এবং ভিএমওয়্যারের মাল্টি-ক্লাউড সেবার বিস্তৃত পোর্টফোলিও ব্যবহার করতে পারে, এজন্য নতুন ক্লাউড সেবা পার্টনারদের জন্য এ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে।
ভিএমওয়্যার
ভিএমওয়্যার সফটওয়্যার বিশ্বের ডিজিটাল অবকাঠামোকে উন্নতীকরণে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটির ক্লাউড, অ্যাপ আধুনিকীকরণ, নেটওয়ার্কিং, নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল কর্মক্ষেত্র ক্লাউডের মাধ্যমে গ্রাহকদের যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন যেকোনো ডিভাইসে ব্যবহার করতে সহায়তা করে।
ভিএমওয়্যারের প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আলটো’তে অবস্থিত। উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভিএমওয়্যার।
বিডি প্রতিদিন/এমআই