মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় ১৫ হাজার জনবলের নেই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় ১৫ হাজার জনবলের নেই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা

কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের ১৫ হাজারের বেশি জনবলের অধিকাংশের পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা বিশেষ সুরক্ষা পোশাক নেই। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চলতি মাসে কুমিল্লায় ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসী এসেছেন। ফলে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে এ জেলা।

সূত্রমতে, কুমিল্লা সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগে জনবল রয়েছে তিন হাজারের বেশি। বেসরকারি সাড়ে তিন শতাধিক হাসপাতালে আছে আট হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংখ্যা চার শতাধিক। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন এক ১৩২ জন। কুমিল্লা পুলিশে আছে দুই ৪০৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী। নাম প্রকাশ না করে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যত বড় দুর্যোগ আসুক। আমাদের মাঠে থাকতে হবে। আমার সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকলে কীভাবে কাজ করব।’ চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসিম বলেন, কুমিল্লায় দেড় হাজার চিকিৎসক রয়েছেন। চিকিৎসক ও হাসপাতাল স্টাফদের পিপিই জরুরি। সরকারি হাসপাতালে কিছু পিপিই এসেছে। বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নিরাপত্তা নিতে বলা হয়েছে। আমাদের সংগঠন থেকেও কিছু পিপিই তৈরি করছি। সচেতন নাগরিক কমিটি-সনাক’র কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, মাঠে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, গণমাধ্যম কর্মীদের থাকতে হচ্ছে। সরকারের দিকে না তাকিয়ে থেকে প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সবার নিরাপত্তার ন্যূনতম ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু পিপিই পেয়েছি। তা মাঠে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সুরক্ষার বিষয়ে বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে।’ কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পিপিই তৈরির জন্য নির্দেশনা এসেছে। তবে বরাদ্দ নেই। আমাদের কিছু রেইন কোর্ট আছে সেগুলো ব্যবহারের উপযুক্ত করছি।’ জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে কুইক রেসপন্স টিম করা হয়েছে। এদিকে সবাইকে ব্যক্তি উদ্যোগে পিপিই তৈরির জন্য বলা হয়েছে। তারা কাপড় কিনে বানিয়ে ফেলবে।’ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। যে পরিমাণ পিপিই এসেছে তা পর্যাপ্ত নয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর