রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভাঙছে গড়াই নদীর বেড়িবাঁধ

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

ভাঙছে গড়াই নদীর বেড়িবাঁধ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার গড়াই নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে নদী পাড়ের মানুষ তাদের ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ভাঙনের তীব্রতায় সংকটাপন্ন বেড়িবাঁধ। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে বেড়িবাঁধ, বাড়িঘর, রাস্তা, গাছপালা ও ফসলি জমিসহ নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। উপজেলার সবচেয়ে বেশি ভাঙনের কবলে পড়েছে জঙ্গল ইউনিয়নের সমাধিনগর, আগ-পটোরা, পুষ-আমলা গ্রামসহ নারুয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা। গড়াই নদীর ভাঙনে সমাধিনগর-নারুয়া বেড়িবাঁধের ২০০ মিটার অংশ ভেঙে গেছে। এতে করে মাঝারি ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প সড়ক দিয়ে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছর গড়াই নদীর পাড় ভাঙে। সরকার ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড নামমাত্র কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করে। তাদের অভিযোগ এতে করে সরকারের লাখ লাখ টাকা লোপাট করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী ভাঙন কবলিত বাসিন্দা কালিপদ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। বর্তমানে নদী পাড়ের বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে গড়াই নদীর আধা কিলোমিটার অংশ ভেঙে গেছে। এখন আমার বসতবাড়িতে থাকা সম্ভব নয়। ভাঙন পাড়ে বাসিন্দাদের জন্য নতুন করে গৃহনির্মাণের দাবি করেন তিনি। বালিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতার কারণে জঙ্গল এবং নারুয়া ইউনিয়নের শত শত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বালুর বস্তার পরিবর্তে তাদের অর্থিক সহায়তা প্রদান করে অন্য স্থানে ঘর নির্মাণ করলে সরকারের অর্থ খরচ কম হবে। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আহাদ বলেন, গড়াই নদীর ভাঙন কবলিত সম্পূর্ণ অংশ মেরামত করা সম্ভব নয়।

গুরুত্বপূর্ণ ভাঙন কবলিত স্থান মেরামতসহ ভাঙন রোধে ১ কোটি ১৭ লাখ টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর