শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
জয়ে আশাবাদী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীই

প্রচারণায় জমজমাট মোংলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রচারণায় জমজমাট মোংলা

প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন। আগামী ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয় করতে দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও। গতকাল সকালে বর্তমান মেয়র ও বিএনপির মো. জুলফিকার আলীকে পৌর শহরের এক সড়কে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান প্রচারণা চালিয়েছেন পৌর শহরের অন্য এলাকায়। এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পৌর শহর জুড়ে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোস্টার। পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও সব অলিগলি। প্রচারণাকালে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী বলেন, আমি দীর্ঘ ১০ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে পৌরবাসীকে সেবা করে আসছি। ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। সুষ্ঠুভাবে প্রচার-প্রচারণা করছি। নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী শেখ আ. রহমান বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পর মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে পৌরবাসীর কাছে পাঠিয়েছেন। মোংলার যত উন্নয়ন তা জননেত্রী শেখ হাসিনা, খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের মাধ্যমেই হয়েছে। সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মোংলাবাসীর কাছে যাচ্ছি। মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত তিনটি মহিলা ওয়ার্ডে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯টি ওয়ার্ডের ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।  এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মোংলা পোর্ট পৌরসভার নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে পৌরসভার সাধারণ ভোটারের সংখ্যা ৩১ হাজার ৫২৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৬৮১ আর নারী ভোটার ১৪ হাজার ৮৪০ জন। এর আগে ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ পৌরসভায় ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৯৫১ জন। এর আগে ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পৌর নির্বাচন। এরপর সীমানা জটিলতার মামলার কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হওয়ায় জটিলতার নিরসনে দীর্ঘ ১০ বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের দিন দেওয়া হবে আরও ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচনকে ঘিরে সব প্রার্থীকে বিধি নিষেধ মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানোর নিদের্শনা দিয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিসার। উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর