শিরোনাম
শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দেবে গেছে মহাসড়কের ৪০০ মিটার

থেমে থেমে চলছে যানবাহন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

দেবে গেছে মহাসড়কের ৪০০ মিটার

দেবে যাওয়া সড়কের এক পাশে থেমে থেমে চলছে গাড়ি। অপর পাশে ইট বালু দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের প্রায় ৪০০ মিটার দেবে গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা বারোমাইল পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। রাস্তার দুই দিকে শত শত বাস-ট্রাককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। দেবে যাওয়া ৪০০ মিটার সড়ক পার হতে সময় লাগছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। দেবে যাওয়া সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। সড়ক বিভাগ ইট বালু ফেলে জরুরি মেরামত কাজ করলেও তেমন সুফল মিলছে না। জনগুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি মহাদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। দেবে যাওয়া অংশ দেখে বোঝার উপায় নেই এটি এক সময় মহাসড়ক ছিল। মনে হবে এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোনো কাঁচা রাস্তা। অথচ এই মহাসড়কটি হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। জাতীয় সড়কের অংশ গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি প্রায় এক বছর ধরেই খানাখন্দে ভরে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যেই আবার গত ১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রানাখড়িয়া জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মিটার দেবে গেছে। স্থানীয় সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই বছর আগে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি নির্মাণ করা হয়। পণ্যবোঝাই ভারী যানবাহন চলাচলের সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় না রেখেই সড়কটি নির্মাণ করায় বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে সড়কটি যান চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়ে।  সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ জনদুর্ভোগ লাঘবে মহাসড়কে ইট-বালু ফেলে জরুরি মেরামত কাজ করলেও তাতে সুফল মিলছে না। কুষ্টিয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা উপজেলার বারো মাইল পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কটি পুনর্নির্মাণের জন্য সম্প্রতি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সড়কটি পুনর্নির্মাণ সম্পন্ন হলে জনদুর্ভোগ নিরসন হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সর্বশেষ খবর