লঘুচাপে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। চট্টগ্রামসহ সব সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা ট্রলার-নৌকাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি চলাচল করতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করেছে শত শত ট্রলার। ইলিশ মৌসুমের শেষদিকে এসে লঘুচাপের কবলে বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- চট্টগ্রাম : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে। চট্টগ্রাম আবহাওয়া দফতরের প্রধান আবহাওয়াবিদ সেখ ফরিদ আহাম্মেদ গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। চট্টগ্রামসহ দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া। বাগেরহাট : সাগরে উত্তাল ঢেউয়ের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের শত শত মাছ ধরা ট্রলার রবিবার বিকাল থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করে। গত দুদিনে বাগেরহাটের কেবি ফিশারিঘাট, শরণখোলা, মোংলা ও রামপালের বহু ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে। কিছু ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে সুন্দরবনের দুবলা, কটকা, মেহেরআলীর চর ও কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে। উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী জানান, মৌসুমের শেষ দিকে এসে সাগরে ইলিশ পড়তে শুরু করায় তারা সারা বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন। এরই মধ্যে সাগর অশান্ত হয়ে ওঠায় তারা আবার হতাশ হয়েছেন। দু-এক দিনে আবহাওয়া স্বাভাবিক না হলে মারাত্মক ক্ষতি হবে তাদের। পটুয়াখালী : সাগরে লঘুচাপ ও অমাবস্যার জোর প্রভাবে নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে অর্ধশত চরসহ জেলার নিম্নাঞ্চল। তবে কোথায় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
গতকাল সকাল থেকে দমকা হওয়া বইছে উপকূলজুড়ে। সাগর উত্তাল থাকায় পটুয়াখালীর মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর-ঢোস-রাঙ্গাবালী-মৌডুবিসহ সব এলাকার মাছধরা ট্রলার নিরাপদে ফিরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে শত শত ট্রলার আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ, সোনাতলা নদীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে।